RSS

Category Archives: খাই খাই

প্রবাসীর খাওয়াদাওয়া – অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়া বলতেই কী মনে পড়ে? আমার তো সবার আগে মনে পড়ে যে ছোটবেলায় অস্ট্রিয়াকে প্রায়ই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতাম। তারপর ভুগোল পড়তে পড়তে জানলাম কোনটা কোন মহাদেশে, কতদূরে। অস্ট্রিয়া মানেই ভিয়েনা কনভেনশন আর সলজবার্গের পটভূমিকায় ‘সাউন্ড অফ মিউজিক’ ছবিটি। এ ছাড়া বিখ্যাত জায়গা বলতে হলস্ট্যাট আর ইন্সব্রুক। হলস্ট্যাট ছাড়া আরও অনেক ওরকম ছোট ছোট পাহাড়ে আর লেকে ঘেরা গ্রাম আছে যদিও, কিন্তু হলস্ট্যাট পর্যটকদের বেশি পছন্দ যাতায়াতের সুবিধার জন্য, সলজবার্গ থেকে দু ঘন্টা মোটে। ইন্সব্রুকে আমরা যাইনি গতবার, সেও পাহাড়ে ঘেরা আর Swarovski ক্রিস্টালের ফ্যাক্টরি/মিউজিয়াম আছে। 

477AC69A-9E43-41E6-9D7A-682DA88B9654_1_201_a

সলজবার্গ শহর

ব্রাসেলস থেকে সলজবার্গ যেতে গোটা দুই-তিন ট্রেন পালটাতে হয়, সময়ও বেশি লাগে, তাই আমরা ফ্লাইটে পৌঁছলাম ভিয়েনা। এয়ারপোর্টে ব্রেকফাস্ট করে নীচের টার্মিনালে গিয়ে ট্রেন ধরে পৌঁছলাম সলজবার্গ। ইউরোপের এই ট্রেন জার্নি গুলো আমার ভীষণ প্রিয়। ছোট ছোট গ্রাম, জনপদের ওপর দিয়ে হুশ হুশ করে হাই স্পীড ট্রেন চলে, চওড়া জানালা দিয়ে স্বচ্ছ নীল আকাশ দেখা যায়, কোথাও পাহাড়, কোথাও ব্রীজের তলায় বয়ে যাওয়া খরস্রোতা ঝর্ণাসম নদী, আবার কোথাও ঝম ঝম করতে করতে সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে যাত্রা। এমন অফুরান সৌন্দর্য্যের ভান্ডার দেখে দেখেও মন ভরে না যেন। যাইহোক, সলজবার্গে এসে দুপুর বারোটায় আবার ক্ষিদে পেয়ে গেল। স্টেশনের বাইরে একটা ছোট্ট লেবানিজ দোকানে পিটা ব্রেড – দোনের কাবাব দিয়ে লাঞ্চ সেরে হোটেলে পৌঁছলাম। বাকি দিনটা সলজবার্গের কাসল ও কিছুটা শহর দেখে ক্লান্ত হয়ে দিনের শেষে ঢুঁ মারলাম হোটেল থেকে এক কিমি দূরে এক ফিউশন ওপেন এয়ার রেস্তোঁরায়। জুলাইয়ের গরমে রোদে ঘুরে আমি বেশ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম, তাই সবার আগে অর্ডার দেওয়া হল ঠান্ডা ক্রাফট বিয়ার।

03FAD7F4-0868-4747-8D9D-9F7CC0E59701_1_201_a

জার্মানি আর অস্ট্রিয়া তাদের হালকা আর সুস্বাদু বিয়ারের জন্যে বিখ্যাত, গরমকালের আদর্শ। খোলা বাগানে গোধূলির আলোয় বসে ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিয়ে পরের অর্ডার সোজা পোর্ক শ্নিটজেল (schnitzel), সঙ্গে রোজমেরি দিয়ে রোস্ট আলু আর ক্র্যানবেরি চাটনি। ভাজাভুজি আমার খুব প্রিয়, তাই শ্নিটজেল পেলে সুযোগ ছাড়ি না। অপর পক্ষের অর্ডার হল রোস্ট পোর্ক, সঙ্গে আলুর সেদ্ধ পুলি আর একটু সব্জি দিয়ে গ্রেভি। দুটোই প্রচন্ড ভাল ছিল, এবং ফিউশন বললেও, এগুলি অস্ট্রিয়ার নিজস্ব খাবার, ঘরের খাবার। বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে, ঠান্ডা হয়ে আমরা হেঁটে হোটেলে ফিরে ঘুম দিলাম। 

salzburg

পোর্ক শ্নিটজেল ও রোস্ট পোর্ক

পরের দিন সকালে উঠে রেডি হয়েই সলজবার্গ স্টেশনে গিয়ে বাস ধরে রওনা দিলাম, নামব বাদ ইশল (Bad Ischl) বলে এক জায়গায়, সেখান থেকে ট্রেন ধরে সোজা হলস্ট্যাট। এই বাস-ট্রেন সফর এবং হলস্ট্যাটে ঘোরা নিয়ে আলাদা করে লিখব পরে, সে এক অনন্য অভিজ্ঞতা, জীবনে না ভোলার মত। আমি আমেরিকায় থাকলেও পাহাড় ঘেরা জায়গাগুলিতে ঘোরার সুযোগ হয়নি, ছাত্রজীবনে পয়সাও ছিল না। আর ইউরোপে এসেও এখনো সুইজারল্যান্ড যাইনি। কাজেই হলস্ট্যাট আমার সেরা লেগেছে। চারিদিকে পাহাড়, মাঝে বিশাল লেক আর তার ধারে রাস্তা ও ফুটপাথ কেটে দোকানপাট বাড়িঘর, অসাধারণ সুন্দর।

603D09F4-70F3-494C-964F-A313D60BEA2F_1_201_a

হলস্ট্যাট

Read the rest of this entry »

 

প্রবাসীর খাওয়াদাওয়া – মাদ্রিদ

একটি বিশাল দর্শকভর্তি স্টেডিয়াম। চারিদিকে মানুষের উত্তেজিত কোলাহল আর তার মাঝে কয়েকটি ষাঁড়ের ক্রুদ্ধ গর্জন। সময়টা রোমান সাম্রাজ্যেরই হোক বা আজ, স্পেনে ষাঁড়ের লড়াইয়ের রীতি খুব একটা বদলায়নি। এখনও টিকিট কেটে প্রচুর মানুষ এই ‘খেলা’ দেখতে যান মাদ্রিদে মার্চ থেকে অক্টোবরের প্রত্যেক রবিবারে। কখনও ষাঁড়টি বেঁচে যায় মাতাডোরের খপ্পর থেকে, আবার কখনও তার মৃত্যু হয়। খেলার নিয়মের ডিটেলে না গেলে মোটামুটি সারাংশ এটাই। তা, মৃত্যুর পর এই ষাঁড়গুলির কী গতি হত আগেকার দিনে? স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন রেস্তোঁরা তাদের মাংস কিনে নিত। শোনা যায় এই ব্যাপারটা স্পেনের কর্ডোবাতে শুরু হয় এবং তারপর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। আজকাল আর লড়াইয়ের পরে এটা হয় না বোধহয়। তবে ইতিহাসকে অনুসরণ করে যে ঐতিহ্যকে স্পেন ধরে রেখেছে তা হল একটি খাবার – রাবো দে তোরো। ষাঁড়ের (অথবা এখন মোষেরও) লেজের মাংস, আলু এবং রেড ওয়াইন দিয়ে তৈরি এই হালকা ঝোল অসামান্য খেতে।

রাবো দে তোরো, স্যুপ, বীনস ও হ্যাম, নীচে ক্রেমা কন নাটা ও সরবেট

আমরা মাদ্রিদ পৌঁছেছিলাম গত ডিসেম্বরের এক দুপুরে। খিদেয় পেট চুঁইচুঁই করছিল, ব্রাসেলস এয়ারপোর্টে বসে খাওয়া ব্রেকফাস্ট পেটের কোন কোণায় তলিয়ে গেছে কে জানে। হোটেলে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে ছুঁচোর কেত্তনে অতিষ্ঠ হয়ে ঠিক করলাম দূরে যাব না লাঞ্চ করতে, হাতের পাঁচ মঙ্গলবার যা রেস্তোঁরা আছে তাতেই ঢুকে পড়ি। হোটেলের ঠিক পাশেই দেখলাম একটি রেস্তোঁরার বাইরে বোর্ড টাঙানো আছে – তেরো ইউরো প্রতিজনে তিন কোর্স সেট মেনু। মুস্কিল হল ওঁরা ইংরাজি একেবারেই বলেন না। আমরা এদিকে অনেক কষ্টে কিঞ্চিৎ ফরাসী রপ্ত করেছি, কিন্তু স্প্যানিশে দৌড় তো ওই ‘ওলা’, ‘বুয়ানোস দিয়াস’ আর ‘গ্রাসিয়াস’ পর্যন্ত। গুগল ভাইপোর দৌলতে মেনু অনুবাদ করে দুজনে আলাদা আলাদা খাবার মিলিয়ে তিন কোর্স দিলাম। এর মধ্যে বেশ ‘হসমুখ লাল’ টাইপের একজন ওয়েটার এসে দুটি কোকা কোলা দিয়ে গেলেন। অর্ডার নেওয়ার সময়ে উনিই মিষ্টি করে শেখালেন কী করে ‘গ্রাসিয়াস’-এর সঠিক উচ্চারণ করতে হয়। খাবারে স্টার্টারে এল আমার জন্যে চালের সিমাই আর কাবলি ছোলা দিয়ে নিরমিষ স্যুপ, আর উল্টোদিকে বেকড এডামামে বীনসের ওপর ডিমের পোচ আর পাতলা ইবেরিকো হ্যাম। মেইন কোর্সে দুজনের জন্যেই রাবো দে তোরো – সেই প্রথমবার খেলাম আর দুর্দান্ত লাগল। বেশ রবিবারের মাংসের ঝোলের মত হালকা অথচ ফ্লেভারে কোনও খামতি নেই। শেষ পাতে ছিল আমার জন্যে ক্রেমা কন নাটা – গলানো চকলেট দিয়ে ভ্যানিলা ক্রীম আর উল্টোদিকে এল এক স্কুপ লেবুর সরবেটের সঙ্গে কমলার কোয়া। এতেই আমরা নড়তে পারছিলাম না, কিন্তু পেরুর বাসিন্দা হসমুখ ভাই ছাড়তে চাইলেন না। দুটি শট গ্লাসে ঢেলে দিলেন একরকম লোকাল পানীয়, যা নাকি হজমে সাহায্য করে। নির্দ্বিধায় খেলাম সেই ঝাঁজালো মিষ্টি শট, কারণ হজমের সত্যিই দরকার ছিল আমাদের। বলাই বাহুল্য যে এত খেয়ে একটু বিশ্রাম নিতে হয়েছিল হোটেলে ফিরে গিয়ে।

Read the rest of this entry »

 

Tags: , , , , , , , ,

প্রবাসীর খাওয়াদাওয়া – ডেলফ

শুরু করি একটু গরম কফি দিয়ে। সে কী, কোনও গৌরচন্দ্রিকা নেই, কোথায় বেড়াতে গেছি, সেখানে খাওয়া ছাড়াও আর কী অভিজ্ঞতা হয়েছে – কিছু বিস্তার না করেই সোজা কফিতে? কী আর বলি, দু কাপ কফি যে কত মায়াময় হতে পারে, তার একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই আগে।

কল্পনা করুন একটি ক্যানালের ধারে মাঝারি ক্যাফে, ভেতরে দু-পাঁচটা টেবিল দিয়ে বসার জায়গা, জানালায় গ্রীষ্মের ফুল সাজানো আর দেওয়ালে শহরের কিছু পুরনো মানচিত্র। বাইরের টেবিলগুলি সোজা জলের ধারে, ছাতার নীচে কটা চেয়ার টেবিল পাতা, বসলেই একটু ঠান্ডা জোলো হাওয়া বয় আর সরু খালের সবুজ জলের ওপর নৌকা বেয়ে চলা দেখা যায়। সারাদিনের ক্লান্তি সারাতে দু দন্ড বসাই যথেষ্ট, চোখের ও মনের আরাম হয়। আমরা গিয়েছিলাম কোরোনা-কালে, অতএব আগে দেখা কটা টেবিল খালি, ভেতরে লোক কম কিনা এবং তারপর সাহস করে ঢুকে পড়া। স্যানিটাইজারের বাধা পেরিয়ে টেবিলে বসে অর্ডার দিয়েছিলাম দুকাপ ক্যাপুচিনো আর একটা গাবদা স্লাইস spiced ginger cake। এসব ঢঙের কেক আমাদের কম বয়সে দেশে ছিল না, মানে আদা আর মশলা দিয়ে আবার কেক হয় কীভাবে! আমেরিকাতে যেমন কুমড়োর কেকের রমরমা, এই পশ্চিম ইউরোপে spiced কেক ও পাঁউরুটি অপর্যাপ্ত। আমার দিব্যি লাগে আদা, জয়িত্রী আর দারচিনির গন্ধওয়ালা একটু ভারী কেক, বিশেষত এই শরত আর শীতকালে।

ডেলফ শহরটি দক্ষিণ হল্যান্ডে, ব্রাসেলস থেকে ট্রেনে ঘণ্টা দুয়েক। শহরটির পত্তন হয় আনুমানিক ১০৭৫ খ্রিষ্টাব্দে।

Read the rest of this entry »

 

Tags: , , , , , , , , ,

প্রবাসীর খাওয়াদাওয়া – অস্টেন্ড

বহুদিন কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি, স্বাভাবিকভাবেই অতিমারীর প্রকোপে। বেলজিয়ামের ভেতরে ট্রেন চলছে আগের মতই, তবে নিয়মের কড়াকড়ি ভালই। গোটা যাত্রাপথে মাস্ক পরে থাকতে হবে। পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশেরও অনেকগুণ বেশি ঘা অবধারিত। গত শনি-রবি এখানে গ্রীষ্মের শেষ রৌদ্রোজ্জ্বল দুটি দিন ছিল। আগামীকাল থেকে শরতকাল শুরু হচ্ছে, তার সঙ্গী হবে মেঘ আর বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। তাই জয় মা বলে বেরিয়ে পড়েছিলাম সমুদ্র দেখতে অস্টেন্ড শহরে। চব্বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঝলমলে রোদ, ঠান্ডা হাওয়া, চিংড়ি মাছ ভাজা, আর নাতিশীতোষ্ণ সমুদ্রের জল মিলিয়ে দিনটা দিব্যি কাটল। শহরের রাস্তায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হলেও সমুদ্রতটে না পরলেও চলে। এমনিতে খুব বেশি লোক সমাগম হয়নি, তা ছাড়া বীচটি যথেষ্ট বড়।

চিংড়ি ভাজা

সমুদ্রে অল্প স্নান ও জলে দাপাদাপি করে বেশ ক্ষিদে পেয়ে গেছিল। দুপুর দেড়টা বাজে। প্রথমবার যখন অস্টেন্ড এসেছিলাম, স্টেশন থেকে বীচে যাবার রাস্তায় পরপর সারি দেওয়া স্টল থেকে চিংড়ি ভাজা খেয়েছিলাম। চিংড়ি হল আমার ইয়ে, যাকে আজকাল বলে BAE, কাঁচা বাদে যে কোনোভাবে যে কোনও সময়ে খাইতে পারি। সেই স্টল খুঁজে গেলাম, তবে সেখানে পাওয়া গেল হুমদো সাইজের স্ক্যাম্পি ভাজা। স্বাদে অতটা ভাল না হলেও জাস্ট চলে যায়। এক প্লেট খাওয়ার পরও যখন পেট চুঁইচুঁই, তখন আবার খাদ্যের সন্ধানে বেরোলাম। বেশ কয়েকটি রেস্তোঁরা বলল রিজার্ভেশন ছাড়া লোক ঢুকতে দিচ্ছে না, কয়েকটি বলল শনিবার দুপুরে কোনও টেবিল খালি নেই। হতাশ হয়ে ভাবছি কোনও বেকারিতে ঢুকে শুকনো স্যান্ডউইচ চিবোতে হবে, তখন চোখে পড়ল সামনের চাতালে একটি ফুড ট্রাকের গায়ে লেখা Poulet/Ribs.

 

দৌড়ে গিয়ে দেখি তারা ঝাঁপ ফেলার আগে মোছামুছি করছে। বড়দা ও তাঁর ছেলে ইংরিজি বলেন না যা বুঝলাম, বৌদি বরঞ্চ বলেন। আমাদের করুণ মুখ দেখে বললেন একটু রোস্ট চিকেন আছে আর একটু পোর্ক রিবস।

ইয়ান ও ক্যাট্রিয়েনের ফুড ট্রাক ছবি – গুগল

দ্বিতীয়টি শুনে আমাদের পক্ষে কোনও বিলম্ব করা সম্ভব হয়না কখনই। ওজন করে প্যাক করে ফেলছিলেন বৌদি, বললাম, একটু কেটে দেওয়া সম্ভব কী? শুয়ারের পাঁজর যতই ভালবাসি, রাস্তার বেঞ্চে বসে যখন খেতে হবে তখন জনসমক্ষে গোটা ধরে খাব কী করে? উনি মিষ্টি করেই বললেন যে দোকান বন্ধের সময় পেরিয়ে গেছে পনেরো মিনিট, এরপর পুলিশ এসে যাবে। আমরা গাঁইগুঁই করে ভাবছিলাম তাহলে চিকেন নিয়ে নি, ম্যানেজ করতে সুবিধে হবে, তখন বড়দা সমরে নামলেন। গোটা পাঁজর কেটে পিস করে, গরম করে প্যাক করে দিলেন, সঙ্গে আরো আধ কিলো জুড়ে দিলেন বিনামূল্যে।

যে দেশই হোক, যে ভাষাই হোক, ক্ষুধার ভাষা ও তার ইশারা বাচন একই। বিপাকে সাহায্য যাঁরা করেন তাদের কথা মনে গেঁথে যায় কীভাবে যেন। একটু হেসে মিষ্টি করে আবেদন করেছিলাম বলে এমন খাবার দিলেন যে তাতে আমাদের ডিনারও হয়ে গেছিল বাড়ি ফিরে।

 

ওহ হ্যাঁ, পাশের চাতালে গিয়ে বেঞ্চে বসে দিব্যি খেলাম রিবস। তার সামনের রেস্তোঁরার উঠোনের টেবিলে বসে একজন ভদ্রলোক কোকা-কোলা খেতে খেতে ঈর্ষার দৃষ্টিও দিলেন আমাদের খাবারের দিকে।

 

Tags: , , , , , , , , , , , , , ,

বর্ষা ও ইলিশ

বর্ষার সঙ্গে ইলিশের সম্পর্কটা ঠিক স্বামী-স্ত্রীর মত না প্রেমিক-প্রেমিকার মত সেটা অনেক বছর ধরেই ভাবাচ্ছে। বহুকাল আগে আমার শৈশবে গঙ্গার ইলিশ বলে লুপ্তপ্রায় জিনিসটা তাও পাওয়া যেত। ভোর চারটের সময় ঝাঁকায় করে ইলিশ তুলে যখন ঝপ করে গঙ্গার পাড়ে ফেলা হত, মনে হয়না সেই রুপোলি শস্য বেশিক্ষণ পড়ে থাকত। আমার বাবাও ঘোর বর্ষায় ভোরে উঠে ইলিশ আনতে গেছে কয়েকবার। অন্যান্য সময় বাজারের চেনা, একটু সখ্যতা হয়ে যাওয়া মাছওয়ালাকে আগে থেকে বলে রাখা, ‘শোন গৌরাঙ্গ, অমুক রোববার বাড়িতে অতিথি আসছে, আমার কিন্তু দু কিলো গঙ্গার ইলিশ লাগবে।‘ – এটা আট-নয় বছরে প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে গেছিল। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলিতেছে, তবে গঙ্গাটা বদলে কোলাঘাট/ডায়মন্ড হারবার হয়ে গেছে। বাবার মত এখন শ্বশুরমশাইও বাজারে বলে রাখেন, ‘শোন হরি, আমি ছেলের কাছে পুণেতে যাচ্ছি, ভাল দেখে ইলিশ একটু রেডি রাখিস, নিয়ে যাব।’

গড়িয়াহাটে রাজুর দোকানে ইলিশের সম্ভার

গড়িয়াহাটে রাজুর দোকানে ইলিশের সম্ভার

গত বর্ষায় কলকাতায় থাকার সুবাদে গড়িয়াহাট বাজারে ইলিশের বাহার দেখার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে রাজুর দোকানে আইস বক্সে রাখা থাকে বাংলাদেশের চাঁদপুরের ইলিশ। তার চেহারা আর দাম দুটোই দারুণ ভাল, তাই স্বাদ চাখার সাহস হয়নি। রাজুর ভাঁড়ারে কোলাঘাট বা ডায়মন্ড হারবার-এর অ্যাসর্টেড কালেকশন থেকে ৫০০/৭০০/১০০০ দিয়ে ইলিশ কিনে প্রাণভরিয়ে তৃষাহরিয়ে খেয়েছি। রাজুর অ্যাসিস্ট্যান্ট বিজু একবার বলেছিল, ‘দাদা, ভাল মাছটা দিচ্ছি নিয়ে যান। আজকেই একটু কাঁচা খাবেন, দু পিস আপনি, দু পিস বৌদি।’ ব্যাপারটা ইলিশ হলেও কাঁচা খাবার প্রস্তাবে বেশ ঘাবড়ে গেছিলাম।

Read the rest of this entry »

 
Leave a comment

Posted by on July 15, 2016 in খাই খাই, রচনা

 

খাই খাইঃ ক্যালকাটা প্লাস

শোনা যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কলকাতায় মেসে থাকতেন, পাইস হোটেলে খেতেন রোজ দুপুরে। পেটচুক্তিতে পেট ভরে ভাত, ডাল, ভাজা, তরকারি, মাছ, চাটনি। সেইসব হোটেলের রান্না হত অতুলনীয়, একেবারে বাড়ির মত বা তার চেয়েও ভাল। বিভিন্ন জেলা থেকে যাঁরা চাকরিসূত্রে কলকাতায় আসতেন, কারুর খাওয়ার অসুবিধে হত না হপ্তায় পাঁচটা দিন, তারপর শনিবারে তাঁরা বাড়ি যেতেন পরিবারের কাছে। ধীরে ধীরে রেস্তোঁরার উদ্ভাবন হওয়াতে পাইস হোটেলের গুরুত্ব কমে আসে শহরে। মধ্যবিত্ত বাবুদের মনে হতে থাকে হোটেলগুলো অপরিষ্কার, বসার জায়গা অপরিসর, সেখানে খেতে যাওয়া তাদের স্টেটাসে ডাউনমার্কেট। স্বাধীনতার পর ডালহৌসির অফিস পাড়ায় আস্তে আস্তে বসতে থাকে পাঁউরুটি-চিকেন স্টু এর স্টল, কাটা ফলের বিস্তৃত ঠেলাগাড়ি, লুচি-ঘুগনির ছোট্ট দোকান। পাইস হোটেলের গুরুত্ব কমতে কমতে এসে ঠেকে শুধু ট্রাক ড্রাইভার, বাসের কন্ডাক্টর, জয়নগর বা পিয়ালী থেকে কলকাতায় কাজের খোঁজে আসা সেইসব তরুণদের জন্যে।

cplus

নিরামিষ থালিঃ ভাত, ডাল, আলু পোস্ত, আলু ফুলকপির তরকারি, আমের চাটনি (ছবিতে নেই)

তা বলে পাইস হোটেল কি একেবারে উঠে গেছে? না। খাস কলকাতায় এখনও পাবেন পাইস হোটেল – রুবি হসপিটালের থেকে নারকেলবাগান বাস স্টপের মাঝের ফুটপাথে ত্রিপল টাঙানো উনুন বসানো দোকান, যাদবপুর থানা থেকে আনওয়ার শাহ রোড কানেক্টরের মোড়ে, বা শিয়ালদার আশেপাশে। যখন আপনি রুবির মোড়ের দিকে ফুটপাথ ধরে হেঁটে যাবেন, গনগনে গ্রীষ্মের বিকেলে বা কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে অফিসের বাস ধরার জন্যে, পাতলা মুসুর ডালে সম্বার দেওয়ার গন্ধ বা রুই মাছ ভাজার সুবাসে ম ম করবে বাস স্টপটা আর আপনার ক্ষিদে পেয়ে যাবেই। যেসব তুচ্ছ দৈনন্দিন ঘ্রাণ আপনি বাড়িতে থাকলে খেয়ালই করেন না, সেগুলো হঠাৎ করে পাইস হোটেল আপনাকে মনে করিয়ে দেবে। স্টিলের থালায় কমদামী মোটা চালের ভাত, পেঁয়াজ পাঁচফোড়ন আর কাঁচালঙ্কা ঘষে দেওয়া মুসুর ডাল, ঝুরিঝুরি আলু ভাজা আর পটল দিয়ে টাটকা মাছের ঝোলের যে কী মহিমা সেটা আপনি নতুন করে জানবেন। আজকালকার হাল ফ্যাশানের ক্যাফে কাম বেকারিতে ঢুকলেই ফ্রেশলি বেকড ব্রেড বা কাপকেকের যে গন্ধ ভেসে আসে, তার থেকে বৌদির দোকানের ডাল ভাত কোনো অংশে কম মনে হবে না।

cal plus1

ছবি নিজস্ব

এত লম্বা গৌরচন্দ্রিকার পর এবার আসল কথায় আসি। প্রবাসে থেকে যে কটা বাঙালি ‘রেস্ট্যুরেন্ট’-এ গেছি, তার মধ্যে দু-একটিকে সত্যিই পাইস হোটেল মনে হয়েছে। অবশ্যই সেগুলো ফুটপাথে ছাউনি ঘেরা কাঠের বেঞ্চ এর উপর স্টিলের বা কলাই করা থালায় খাবার পরিবেশন করে না। তার চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই মানে এবং দামে উন্নত। পাইস হোটেল বলে তাদের কিন্তু কোনো অসম্মান করতে চাইছি না, বরঞ্চ পাইস হোটেলের মতই ভাল ঘরোয়া খাবার এবং পরিবেশনে যে আন্তরিকতা তাদের আছে, তার কথা বলছি। পুণের পিম্পলে সৌদাগরের ক্যালকাটা প্লাস সেই বিভাগে পড়ে। কাউন্টারে বসেন বয়স্ক কাকু, হোম ডেলিভারি করতে যান জামাইদা এবং পুজোর সময় কাকুর স্টল সামলান তাঁর ছেলে।

ক্যালকাটা প্লাস, পিম্পলে সৌদাগর

ঠিকানা – গীতাই মার্কেট, শিভার চৌক, পিম্পলে সৌদাগর, পুণে

ফোন – +৯১-৮৭৯৬২০৭২১৯

বসে খান | আমিষ | সুরারসে বঞ্চিত | ঘরে আনানো যাবে | পাখা আছে এসি নেই

সময় – দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে তিনটে, সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত এগারোটা

Read the rest of this entry »

 
3 Comments

Posted by on April 18, 2016 in খাই খাই

 

Tags: , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , ,

খাই খাইঃ রকিং আড্ডা

ছবি সৌজন্যেঃ রিমলি দে

ছবি সৌজন্যেঃ রিমলি দে

‘খাই খাই’তে এতদিন আমি প্রবাসে বাঙালি রেস্তোঁরার সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আজ এখানে অতিথি হিসেবে লিখেছেন পুণের অন্যতম ফুড ব্লগার ও ফুড ফটোগ্রাফার রিমলি দে। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। রিমলি কাজের সঙ্গে রাঁধে, ছবি তোলে, সেই ছবি ও রেসিপি ব্লগায়, এবং অর্ডারে দুর্দান্ত সব মিষ্টিমাষ্টা বানিয়েও দেয়। সময় করে রিমলির ব্লগেও একবার হানা দিয়ে আসুন। এহেন গুণসম্পন্না রাঁধুনির রেস্তোঁরা সমালোচনা না পড়লে কিন্তু মিস করবেন। দেখে নিন ‘রকিং আড্ডা’তে গিয়ে রিমলির কেমন লেগেছে।

আপনারাও লিখতে পারেন খাই খাই-তে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে কোনো বাঙালী খাবারের দোকানের ব্যাপারে লিখে আমাকে জানাতে পারেন এই মেল আইডিতে – chernozems.prb@gmail.com। যথাযথ হলে সেটা এখানে নিশ্চয়ই ছাপা হবে।

ছবি সৌজন্যেঃ রিমলি দে

ছবি সৌজন্যেঃ রিমলি দে

রকিং আড্ডা, পুণে

ঠিকানা – ১, কবিতা অ্যাপার্টমেন্ট, HDFC ব্যাঙ্কের উল্টোদিকে, দত্ত মন্দির চৌক, বিমান নগর, পুণে – ৪১১০১৫

ফোন – ০২০ ২৬৬৩৩৮৯৮, ৭৭৫৮৯৯৫৩৪৬

বসে খান | ঘরে আনিয়ে খান | আমিষ | সুরারসে বঞ্চিত | শীতাতপনিয়ন্ত্রিত | ধূমপানের আলাদা জায়গা

সময় – দুপুর ১টা থেকে রাত ১১টা

Read the rest of this entry »

 
1 Comment

Posted by on August 14, 2014 in খাই খাই

 

Tags: , , , , , , , , , , , , , , ,

খাই খাইঃ টপ ইন টাউন

খাওয়ার জন্যেই তো বাঁচা। অন্তত আমার মত অধিকাংশ বাঙালীরই তাই। শুধু বাঁচার জন্যে কষ্ট করে দই-শশা খেয়ে আর কদিন থাকা যায় বলুন! তাই রোজকার ভাত-ডাল-মাছের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে মাঝে মাঝে রেস্তোঁরায় ঢুঁ মারি। কখনও হতাশ হতে হয়, কখনও বা দিল খুশ হয়ে যায়। নিজেদের চেনা খাবার, কখনো বা ঘরের খাবারই নতুন আঙ্গিকে আর স্বাদে বাইরে খেয়ে আসি। মেক্সিকান-ইতালিয়ান-থাই-চীনে-জাপানি রেস্তোঁরাগুলো বাদ দিলাম, ওসবে আমি-আপনি মুখ বদলেই থাকি। ম্লেচ্ছ ছেড়ে প্রবাসে বাঙালী খাবারের খোঁজ করে, তারই কয়েক ঝলক আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তবে আমি একা নই, আপনারাও লিখতে পারেন খাই খাই-তে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে কোনো বাঙালী খাবারের দোকানের ব্যাপারে লিখে আমাকে জানাতে পারেন এই মেল আইডিতে – chernozems.prb@gmail.com। যথাযথ হলে সেটা এখানে নিশ্চয়ই ছাপা হবে।
গৌরচন্দ্রিকা অনেক হল, এবার একটু খাই খাই করি।

ছবি সৌজন্যেঃ Zomato

ছবি সৌজন্যেঃ Zomato

টপ ইন টাউন, পুণে

ঠিকানা – ১৩, আর ডেকান মল বিল্ডিং, ডেকান পোস্ট অফিসের পেছনে, জংলি মহারাজ রোড, পুণে
ফোন – +৯১-৯৮৮১১৩০৩৬৬

বসে খান | আমিষ | সুরারসে বঞ্চিত | ঘরে আনানো যাবে না | পাখা আছে এসি নেই

সময় – দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা

আলোচনা –

রবিবার দুপুরে কেউ যদি পরোটা আর কষা মাংসের লোভ দেখায়, কী করবেন?

ছবি সৌজন্যেঃ Zomato

ছবি সৌজন্যেঃ Zomato

আপনি কী করবেন জানিনা, তবে আমার পক্ষে সেই লোভ সামলানো কঠিন। তাই পড়ন্ত শীতের এক দুপুরে জনৈক বন্ধু আমাদের বগলদাবা করে নিয়ে গেল কাঙ্খিত কষা মাংস খাওয়াতে। বন্ধুমহলে প্রচলিত যে আমাদের কর্তা-গিন্নিকে মাংসের লোভ দেখিয়ে কেউ সহজেই গুম করে দিতে পারে। সে নিন্দুকে যাই বলুক না কেন, কষা মাংসের জন্যে আমরা অনেক কিছুই করতে পারি। খুঁজতে খুঁজতে টপ ইন টাউনে পৌঁছে গেলাম। আপনাদেরও একটু খুঁজতে হবে, ডেকান জিমখানার বিশাল ক্রিকেট মাঠের উল্টোদিকে একটা ছোট্ট প্লাজার একতলায় এই রেস্তোঁরা। গলির দুপাশে দুটো ঘুপচি ঘর, একটায় রান্না আর ক্যাশ কাউন্টার, অন্যটায় সাকুল্যে চারটি টেবল আর সরু সিঁড়ি দিয়ে যদি দেড়তলায় উঠতে পারেন, সেখানে আরো দুটি টেবল।

Read the rest of this entry »

 
2 Comments

Posted by on May 19, 2014 in খাই খাই

 

খাই খাই : কলকাতা ১৭

খাওয়ার জন্যেই তো বাঁচা। অন্তত আমার মত অধিকাংশ বাঙালীরই তাই। শুধু বাঁচার জন্যে কষ্ট করে দই-শশা খেয়ে আর কদিন থাকা যায় বলুন! তাই রোজকার ভাত-ডাল-মাছের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে মাঝে মাঝে রেস্তোঁরায় ঢুঁ মারি। কখনও হতাশ হতে হয়, কখনও বা দিল খুশ হয়ে যায়। নিজেদের চেনা খাবার, কখনো বা ঘরের খাবারই নতুন আঙ্গিকে আর স্বাদে বাইরে খেয়ে আসি। মেক্সিকান-ইতালিয়ান-থাই-চীনে-জাপানি রেস্তোঁরাগুলো বাদ দিলাম, ওসবে আমি-আপনি মুখ বদলেই থাকি। ম্লেচ্ছ ছেড়ে প্রবাসে বাঙালী খাবারের খোঁজ করে, তারই কয়েক ঝলক আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তবে আমি একা নই, আপনারাও লিখতে পারেন খাই খাই-তে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে কোনো বাঙালী খাবারের দোকানের ব্যাপারে লিখে আমাকে জানাতে পারেন এই মেল আইডিতে – chernozems.prb@gmail.com। যথাযথ হলে সেটা এখানে নিশ্চয়ই ছাপা হবে।
গৌরচন্দ্রিকা অনেক হল, এবার একটু খাই খাই করি।

কলকাতা ১৭, পুণে

ঠিকানা – সিদ্ধার্থ রয়াল হোমস, দত্ত মন্দির চৌক, বিমান নগর, পুণে – ৪১১০১৪
ফোন – +৯১-৮৮৮৮৩১৭১৯৯

বসে খান | ঘরে আনিয়ে খান | আমিষ | সুরারসে বঞ্চিত | শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত

সময় – দুপুর ১২ ৩০ থেকে রাত ১০টা

ছবি সৌজন্যে - Burrp

ছবি সৌজন্যে – Burrp

আলোচনা –

খাদ্যরসিক বাঙালী বিরিয়ানি নামক পরশপাথরের খোঁজে খ্যাপার মত এদিক ওদিক ফেরে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। কলকাতা শহর ছেড়ে বছর সাতেক হয়ে গেল, প্রবাসী শহরগুলোয় বিরিয়ানি চাখতে চাখতে মনটা উদাস হয়ে যায়।
“এমন একটা বিরিয়ানি খুঁজে পেলাম না
যার স্বাদ আছে,
এমন একটা বিরিয়ানি খুঁজে পেলাম না
যার গন্ধ আছে…”

স্বাদ আর গন্ধ মিলিয়ে ভাল ‘কলকাতা বিরিয়ানি’ জিনিসটা খুব দুর্লভ। কোথাও ভাত আর মাংসের কোনো যুগলবন্দি নেই তো কোথাও মিঠা আতরের আতিশয্যে অন্য কিছু বোঝা যায় না। বহুদিন ধরে বহু রেস্তোঁরা ঘুরে অবশেষে এক বন্ধুর সুপারিশে কলকাতা ১৭তে এসে পৌঁছলাম।

Read the rest of this entry »

 
6 Comments

Posted by on March 7, 2014 in খাই খাই

 

Tags: , , , , , , , , , , , , , , ,

 
The Ramblings of Don

Just my ramblings..... and sometimes my nostalgic memories!

Book Reviews by Satabdi

Candid opinions on books I read

photographias

photography and life

VR & G

Vigorous Radiant & Glowing

যযাতির ঝুলি | বাংলা ব্লগ | Jojatir Jhuli | Bangla Blog

বাংলা কবিতা, বাংলা গদ্য.. মুচমুচে, খাস্তা, অনবদ্য। ছুটির দুপুরে হোক না যোগ.. যযাতির গল্প, ছড়া, ব্লগ।।

feeble Lines

- By Adarsh

Natasha Ahmed

Author at Indireads

জীবনের আয়না

কিছু এলোমেলো ভাবনাচিন্তা

ব্লগম ব্লগম পায়রা

এটা-সেটা লেখা-দেখা...কখনো আনমনে কখনো সযতনে, টুকিটাকি আঁকিবুঁকি...সাদা-কালো সোজা বাঁকা

TRANSLATIONS: ARUNAVA SINHA

Bengali-to-English, English-to-Bengali literary translations

Cutting the Chai

India's original potpourri blog. Since 2005. By Soumyadip Choudhury

সাড়ে বত্রিশ ভাজা

একটি বাংলা ব্লগ

MySay.in | Political Cartoons and Social Views

Funny Cartoon Jokes on Latest News and Current Affairs.

Of Paneer, Pulao and Pune

Observations | Stories | Opinions

A Bookworm's Musing

Reading the world, one book at a time!

SpiceArt

"আমার চতুর্পাশে সব কিছু যায় আসে, আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা..."

Re.lexi.fication

Global structures. Local colour.

Abhishek's blog অভিষেকের ব্লগ

"আমার চতুর্পাশে সব কিছু যায় আসে, আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা..."

Calcutta Chromosome

"আমার চতুর্পাশে সব কিছু যায় আসে, আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা..."

Bookish Indulgences

"আমার চতুর্পাশে সব কিছু যায় আসে, আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা..."

monalisadesign

Monalisa's creations

of spices and pisces

food and the history behind it.