কিছুদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে গেছিলাম। ওই যা হয় আর কী, বাবা মায়েদের বয়েস হলে বছর বছর মেডিকাল ও অন্যান্য কারণে ট্রিপ হয়ে যায়। সেই হাসপাতাল-বাড়ি-ট্যাক্সি-মেট্রো-ব্যাঙ্ক-সরকারি অপিস ইত্যাদির গোলকধাঁধার মধ্যে খুঁজে ও খুঁটে বেশ কিছু জিনিস খাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের মোটামুটি একটা লিস্ট করা থাকে খাবারের যার কিছু দোকানে, বাকি বাড়িতে যোগাড় ও রান্না করে খেলে ভাল হয়। এমন সব জিনিস যা ধরুন ব্রাসেলসে পাওয়া যায় না অথবা পেলেও মান খুবই ইয়ে টাইপের। কিছু জিনিস বাবা মায়েরাই খুঁজেপেতে আনালেন, কিছু আত্মীয় বন্ধুরা যোগাড় করে দিলেন আর কিছু আমরাই ঘুরে ঘুরে খেলাম। এর মধ্যে কয়েকটি পোষালো, কয়েকটি নয়, কয়েকটি ব্যাপক লাগল, কয়েকটি মোটামুটি।
১। ঘাসপাতা দিয়েই শুরু করি। বেটার হাফের একটা দাবী থাকে পঃবঃ গেলেই, তার খেসারির শাক চাই। পরিবারের সবাই জানে এবং শীতের আশেপাশে পৌঁছলেই খোঁজার চেষ্টা করে। এবারে ডিসেম্বর শুরুতে ছিলাম বলে বেটার হাফের মাসি এলাকার বাজারে বলেকয়ে খেসারি যোগাড় করে, রান্না করে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমার এমন কিছু উথালিপাতালি নেই খেসারি নিয়ে, নিজস্ব স্বাদ নেই খুব একটা, ঠেসে কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাজলে খেতে ভাল লাগে অবশ্য। এক সময়ে খেসারির ডাল ব্যানড ছিল, কিন্তু এখন নয় এবং শাকটি শুনেছি খুবই উপকারী। কলকাতায় কজন খেসারি খেয়েছেন জানি না তবে আমাদের মফস্বলে শীতকালে দিব্য পাওয়া যায়।
Read the rest of this entry »