এই আলোচনা লেখার জন্যে কেউ আমাকে একটাও টাকা/ডলার/পাউন্ড/বিটকয়েন দেয়নি। সিনেমা বোদ্ধা/আঁতেল নই, শুধুমাত্র দর্শক হিসেবে বক্তব্য পেশ করছি।
ডিটেলঃ
ভাষা – বাংলা, রিলিজ তারিখ – ১৬ই অক্টোবর ২০১৫, দৈর্ঘ্য – ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট, ছবি – রঙীন, মূল গল্প – শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়, চিত্রনাট্য – অঞ্জন দত্ত, সঙ্গীত – নীল দত্ত, পরিচালনা – অঞ্জন দত্ত, অভিনয়ে – যীশু সেনগুপ্ত, শাশ্বত চ্যাটার্জী, কৌশিক সেন, শান্তিলাল মুখার্জী, দেবদূত ঘোষ, অঙ্কিতা চক্রবর্তী, চন্দন সেন, সাগ্নিক, প্রান্তিক ব্যানার্জী, জয়জিত ব্যানার্জী, উষসী চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা সরকার।
আলোচনাঃ বহুদিন হল সিনেমা নিয়ে কিছু লিখিনি এখানে। কারণ জিজ্ঞ্যেস করিয়া লজ্জা দিবেন না। ল্যাদ এবং অন্যান্য পারিপার্শ্বিকের জন্য গুচ্ছ সিনেমা দেখলেও সব লিখে ফেলা হয় না। তবে ব্যোমকেশ দিয়েই এই ইনিংস শুরু করি। টেলিভিশনে দেখে ফেললাম অঞ্জন দত্ত ও যীশুর ‘ব্যোমকেশ বক্সী।‘ এর আগে অঞ্জন দত্তর তিনটি ছবি আবীরকে ব্যোমকেশ হিসেবে নিয়ে এবং অরিন্দম শীলের ‘হর হর ব্যোমকেশ’ (আবার আবীর) দেখেছি। এত এত বক্সী দেখে নিজেকে পরমহংস মনে হচ্ছে, জলটুকু ছেঁকে ছবি থেকে দুধটুকু তুলে নিতে হবে। কী চাপ!
যেহেতু এর আগে সব মিলিয়ে গোটা পাঁচ-ছয় ব্যোমকেশ হয়েছে গত কয়েক বছরে, এবারে কোনোরকম আশা-প্রত্যাশা-হতাশা-নিরাশা ছাড়াই জাস্ট ছবিটা দেখতে বসেছিলাম। যীশুকে মানাবে কিনা, আদৌ অভিনয় করবেন কিনা, অঞ্জন দত্ত আবার ছড়াবেন কিনা, সব ভাবনা সরিয়ে রেখে সরস্বতী পুজোর পরের দিন দুপুরে গোটাসেদ্ধ খেতে খেতে টিভির সামনে বসলাম। ট্রেলারে সবচেয়ে ভাল লেগেছিল সূত্রধার হিসেবে অজিতকে। ছবির একেবারে শুরুতে আরও ভাল লাগল। অজিতের ভূমিকায় শাশ্বত থাকলে সেই ছবি এমনিই বসে পুরোটা দেখা যায় (‘ব্যোমকেশ ফিরে এল’ বাদে, সেখানে আবীর একা হাতে একেবারে টানতে পারেননি)। এই ছবির মূল গল্পটি ‘কহেন কবি কালিদাস’ সেটা এতদিনে সবাই জেনে গেছেন। ব্যোমকেশের অন্যান্য গল্প তূলনায় এটা হয়ত একটু ম্যাড়ম্যাড়ে – গ্ল্যামারাস লোকেশন নেই, বরঞ্চ কয়লাখনি, সময়টা টালমাটাল, চরিত্রগুলি সবাই প্রায় ধূসর, কয়লার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই। তবে মোহিনীর চরিত্রটি থাকায় এটা সে অর্থে ‘অ্যাডাল্ট’ গল্প ছিল এক সময়ে।